যে ১০টি টুল ডিজিটাল মার্কেটিং-কে সহজ করবে

মার্কেটিং এমন একটি বিষয় যা পরিপূর্ন ভাবে করতে অনেক সময়ের প্রয়োজন হয়। কিন্তু এই মার্কেটিং কাজকে সহজ করতে অনলাইনে অনেক ফ্রী এবং পেইড টুল রয়েছে। যেই টুলের মাধ্যমে একজন মার্কেটার তার অনেক কাজ খুব সহজে এবং কম সময়ে করে ফেলতে পারে।


১. ওয়ার্ডপ্রেসঃ
মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে ওয়ার্ডপ্রেস হল একটি বেসিক বিষয়। অনেকের কাছে মনে হতে পারে ওয়ার্ডপ্রেস আবার মার্কেটিং টুল হয় কি করে ? ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে তো ওয়েবসাইট বানায়, আপনি ঠিক বলছেন ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে ওয়েবসাইট বানায়, কিন্তু একটু গভীর ভাবে চিন্তা করলে দেখবেন, এমন একটু ব্লজ্ঞিং সাইট যেখানে আপনার প্রোডাক্ট ধরণের উপর নির্ভর করে আর্টিকেল লেখা হয়, যেমন – ধরুন আপনি শাড়ি বিক্রয় করেন, তখন ঐ ব্লজ্ঞিং সাইট এ লেখা হলো কোন ধরণের কাপড় কিভাবে ধুতে হয়, কোন ধরণের কাপড় কেমন মাত্রায় স্ত্রি করতে হয়, কাপড় চেনার উপায়, বিভিন্ন নতুন ডিজাইন এর ধারণা ইত্যাদি এসব পড়তে আপনার কাস্টমার আসতে পারে আপনার ব্লগ এ এবং ওখানে আপনি আপনার ব্রান্ড এর মার্কেটিং করতে পারেন।
কেমন লাগলো ?
একটি ভালো ওয়েবসাইট বানাতে তো লেগে যায় অনেক টাকা, সেক্ষেত্রে আপনি নিজে শুধুমাত্র ব্লগ সাইট বানানোর উপায় জানলেই আপনার কাজটি হয়ে যাচ্ছে।


২. গ্রামার্লিঃ
আমাদের দেশের মার্কেটারদের একটি খুব সাধারন সমস্যা হল ইংলিশ গ্রামার। যেহেতু মার্কেটারদের বিভিন্ন স্থানে পোষ্ট করার জন্য ইংলিশ লেখালেখি করতে হয়। সেহেতু আমরা প্রায়ই এই সমস্যায় পরি। এই সমস্যা অনেকটাই কমিয়ে দেওয়ার জন্য রয়েছে গ্রামার্লি। এটি ব্যবহার করার জন্য প্রথমে ব্রাউজারে ইন্সটল করতে হবে। তাহলে অনলাইনে যেকোন স্থানে ইংলিশে লেখালেখি করলে ইংলিশের ভুল গুলো দেখানো হবে এবং সঠিক বাক্য দেখাবে।


৩. গুগল ট্রেন্ডঃ
গুগল ট্রেন্ড মার্কেটারদের কাছে একটি অতি পরিচিত নাম। ব্যবসায়ের নতুন নতুন আইডিয়া পেতে, পণ্য সম্পর্কে আইডিয়া নিতে, বর্তমানে কোন কোন বিষয়গুলো মার্কেটে চলছে এই সকল বিষয়ের ধারনা পেতে গুগল ট্রেন্ড আপনাকে সাহায্য করবে। গুগল ট্রেন্ডের মাধ্যমে বিভিন্ন সময় এবং স্থান অনুযায়ী তথ্য পেতে পারেন।


৪. Bitly:
URL শর্টনারের মধ্যে যেই টুল গুলো রয়েছে তার মধ্যে বিটলি সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়। মার্কেটারদের তাদের কাজের মধ্যে বিভিন্ন সময় ওয়েবসাইটের লিঙ্ক শর্ট করতে হয়। শুধু URL শর্ট করার জন্য নয় আপনার লিঙ্ক কেমন পার্ফরমেন্স করছে তাও এই টুলের মাধ্যে দেখা যায়।


৫. Clicky:
Clicky হল আরেকটি এনলাইটিক টুল যার মাধ্যমে একটি ওয়েবসাইটের ভিজিটর সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ করতে পারবেন। এটি একটি অন্যতম ইউজার ফ্রেন্ডলি এনালাইটিক টুল। সহজেই ক্লায়েন্টের ওয়েবসাইটের রিপোর্ট এই টুলের মাধ্যমে দিতে পারবেন। অনেক মার্কেটার রয়েছে যারা গুগল এনালাইটিকের চেয়ে এই টুল বেশি পছন্দ করে। এর একটি কারণ হচ্ছে Heatmaps, এর মাধ্যমে জানা যায় ভিজিটর কোন জোন এ বেশি সময় ব্যয় করেছে এবং ক্লিক করেছে । ৬. Pixabay:
মার্কেটিং করবেন আর ছবি ব্যবহার করবেন না তাহলে তো ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে না। কাস্টমারের মনোযোগ আকর্ষন করতে কন্টেন্টের সাথে মিল রেখে ছবি দিতে হয়। কিন্তু যেকোন ছবি নিলে ওয়েবসাইট কপি রাইটে পড়তে পারে। কপি রাইট ফ্রী ছবির এক বড় উৎসের নাম হল Pixabay.


৭. AllTop:
ডিজিটাল মার্কেটিং এবং ব্লগ পোষ্ট লেখার জন্য আমাদের অনেক রিসার্চ করতে হয়। এই রিসার্চের জন্য ব্লগ হচ্ছে সবচেয়ে উপযুক্ত সোর্স। নির্দিষ্ট কীওয়ার্ডের উপর পপুলার ওয়েবসাইট গুলোর টপ ব্লগ পোষ্ট গুলো খুজে বের করার জন্য যে টুল ব্যবহার করবেন তার নাম হল AllTop. প্রতি মুহূর্তেই এই ওয়েবসাইট আপডেট হচ্ছে। আপনি যে কোন Category এর উপর পপুলার ব্লগ পোষ্ট পাবেন।


৮. WooRank:
যারা এসইও নিয়ে কাজ করে তাদের প্রতিযোগী ওয়েবসাইটকে বিশ্লেষণ করতে হয়। নিজের ওয়েবসাইট বা ক্লাইন্টের ওয়েবসাইটের অডিট রিপোর্ট তৈরি করতে হয়। খুব সহজে একটি ওয়েবসাইটকে বিশ্লেষণ করতে বা অডিট রিপোর্ট তৈরি করতে একটি টুল ব্যবহার করতে পারেন তা হল WooRank. এই টুলের মাধ্যমে প্রতিযোগীর ওয়েবসাইটের বিভিন্ন তথ্য যেমনঃ র্যা ঙ্কিং হওয়া কীওয়ার্ড, H1 ট্যাগের পরিমান, alt text ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ন তথ্য জানা যায়।


৯. Hootsuite:
ডিজিটাল মার্কেটিং এর জন্য সোশ্যাল মিডিয়া, বিশেষ করে লিডীং যেই সোশ্যাল মিডিয়া রয়েছে সেগুলো অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে। কিন্তু এতগুলো সোশ্যাল মিডিয়াতে একসাথে পোষ্ট করা অনেক সময়ের ব্যাপার। দেখা যায় অনেক সময় আমরা চাইলেও ব্যস্ততার জন্য সকল সোশ্যাল মিডিয়াতে সময় দিয়ে পোষ্ট করতে পারি না অথবা সকল সোশ্যাল মিডিয়া পরিচালনা করতে পারিনা। এই সমস্যার সমাধান নিয়ে আসে যেই টুল তার নাম হল HootSuite. সময়মত আপনার নির্দেশ অনুসারে পোষ্ট হয়ে যাবে কন্টেন্ট সব গুলো সোশ্যাল অ্যাকাউন্ট এ , কিন্তু বলে দেই, বর্তমানে সকল সোশ্যাল মিডিয়া চায় আপনি সরাসরি তাদের ওয়েবসাইট ব্যবহার করুন, নয়ত আপনার পোষ্ট এর রিচ কমে যেতে পারে।


১০. Rapportive:
ইমেইল মার্কেটিং এর জন্য আমাদের ইমেইল সংগ্রহ করতে হয়। অনলাইন থেকে নেয়া ইমেইল অনেক ক্ষেত্রে ভুল হতেও পারে তখন আমাদের প্রয়োজন হয় ইমেইল চেক করার। এই ইমেইল চেক করার জন্য একটি জনপ্রিয় টুল হল Rapportive। এই টুল ব্রাউজারে ইন্সটল করে Gmail –এর Compose এ গিয়ে To তে অনলাইন থেকে নেয়া ইমেইল পেষ্ট করলে Rapportive আপনাকে দেখাবে কোন ইমেইল গুলো ঠিক আছে। Rapportive LinkedIn এর সাথে লিঙ্ক হয়ে কাজ করে। যদি ঐ ইমেইল দিয়ে LinkedIn অ্যাকাউন্ট থাকে তাহলে সেই অ্যাকাউন্টটি দেখাবে নয়ত দেখাবে না। মনে রাখবেন, আপনার LinkedIn অ্যাকাউন্ট সেই মুহূর্তে লগইন করা থাকতে হবে।

ডিজিটাল মার্কেটিং ক্যারিয়ার যেমন হয়

ডিজিটাল মার্কেটিং এমন একটি ক্ষেত্র যেখানে সৃজনশীলতা ও প্রযুক্তির ভারসাম্য সমানভাবে রক্ষা করতে হয়। তাই বলে ঘাবড়ে যাবার কিছু নেই। এ খাতে কাজের পরিধি এত বড় যে আপনি চাইলে নিজের দক্ষতার সাথে মানানসই স্পেশালাইজেশন নিয়ে কাজ করার সুযোগ পাবেন। ডিজিটাল মার্কেটিং ক্যারিয়ার গড়তে চাইলে এবারের লেখা থেকে দরকারি কিছু তথ্য জেনে নিন।

  1. ডিজিটাল মার্কেটিং ক্যারিয়ার বলতে আসলে কী বোঝায়?

ডিজিটাল মার্কেটিং একক কোনো ক্ষেত্র নয়। বরং বিভিন্ন ডিজিটাল চ্যানেল বা মাধ্যমে কোনো প্রোডাক্ট, সার্ভিস বা প্রতিষ্ঠানের প্রচারণা চালান একজন ডিজিটাল মার্কেটার। যেমন:

  • সোশ্যাল মিডিয়া
  • ইমেইল
  • সার্চ ইঞ্জিন
  • মোবাইল অ্যাপ স্টোর
  • ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম

ব্যক্তিগত আগ্রহ, দক্ষতা, অভিজ্ঞতা আর প্রয়োজন সাপেক্ষে একজন ডিজিটাল মার্কেটার সব ডিজিটাল মাধ্যম বা নির্বাচিত কয়েকটি মাধ্যম নিয়ে কাজ করে নিজের ক্যারিয়ার গড়েন।

দুইভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ রয়েছে আপনার জন্য:

  • চাকরি
  • ফ্রিল্যান্সিং

সময় বের করতে পারলে একসাথে দুইভাবেই কাজ করতে পারবেন।

  1. ডিজিটাল মার্কেটার হিসেবে চাকরি

কোনো প্রতিষ্ঠানে ডিজিটাল মার্কেটার হিসাবে যোগ দিলে ক্যারিয়ারের ধাপ প্রতিষ্ঠানের উপর নির্ভর করবে। একটি উদাহরণ হতে পারে এমন:

  • জুনিয়র ডিজিটাল মার্কেটিং এক্সিকিউটিভ বা ডিজিটাল মার্কেটিং অ্যাসোসিয়েট
  • সিনিয়র ডিজিটাল মার্কেটিং এক্সিকিউটিভ
  • মার্কেটিং ম্যানেজার
  • সিনিয়র মার্কেটিং ম্যানেজার
  • অ্যাসিস্ট্যান্ট মার্কেটিং ডিরেক্টর
  • মার্কেটিং ডিরেক্টর

স্পেশালাইজেশন অনুযায়ীও পদের নাম নির্দিষ্ট হতে পারে। যেমন, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিংয়ে স্পেশালাইজেশনের ক্ষেত্রে মার্কেটিং ম্যানেজারের পদবী হয়ে যেতে পারে সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার বা কমিউনিটি ম্যানেজার।

  1. ডিজিটাল মার্কেটার হিসেবে ফ্রিল্যান্সিং

সারা বিশ্বে ডিজিটাল মার্কেটারদের কাজের চাহিদা থাকার কারণে আপনি হয়তো ফ্রিল্যান্সিং করতে চান। এভাবে ক্যারিয়ার গড়তে চাইলে আপনাকে প্রথমে কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে।

  1. ডিজিটাল মার্কেটিং এ ফ্রিল্যান্সিং এর সুবিধা
  • ব্যক্তিগত প্রয়োজন, ইচ্ছা ও সময়-সুযোগ অনুযায়ী কাজ বাছাই করতে পারবেন।
  • কাজের পোর্টফোলিও সমৃদ্ধ করতে সাহায্য করে।
  • একাধিক ক্ষেত্র থেকে উপার্জন করা সম্ভব।
  • যোগাযোগ ও নেটওয়ার্কিংয়ের দক্ষতা ঝালাই করতে সাহায্য করে।
  • স্বাভাবিক কাজের বাইরে গিয়ে বৈচিত্র্যপূর্ণ কাজের মাধ্যমে দক্ষতা অর্জন করার সুযোগ থাকে।
  • সর্বশেষ প্রযুক্তি নিয়ে অন্যদের আগে কাজ করা যায়, যা অনেক সময় সাধারণ চাকরির ক্ষেত্রে সম্ভব নয়।
  1. ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে ফ্রিল্যান্সিংয়ের অসুবিধা
  • অভিজ্ঞতা না থাকলে শুরুতে কাজ পাওয়া কঠিন।
  • প্রতিনিয়ত দক্ষ ও অভিজ্ঞ মার্কেটারদের সাথে প্রতিযোগিতা করে নতুন কাজের খোঁজ করতে হয়।
  • উপার্জন সম্পূর্ণরূপে আপনার যোগাযোগের দক্ষতা, অভিজ্ঞতা, কাজের দক্ষতা ও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করার উপর নির্ভর করে।
  • অনেক সময় ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের পুরো প্রজেক্টের কাজ একা সামলাতে হবে, যা অভিজ্ঞতা ছাড়া অত্যন্ত কঠিন।
  • দীর্ঘ সময় ধরে অতিরিক্ত চাপের কারণে শারীরিক ও মানসিক ক্লান্তির সম্ভাবনা বেড়ে যায়, যা নতুন কাজ খুঁজে পেতে বাধা তৈরি করে।
  1. ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম
  • Upwork
  • Freelancer
  • Fiverr

এ প্ল্যাটফর্মগুলো ছাড়াও স্পেশালাইজড প্ল্যাটফর্ম রয়েছে, যেখানে আপনি ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে ফ্রিল্যান্সিং প্রজেক্ট খুঁজে পেতে পারেন।

প্রতিটি প্ল্যাটফর্মের কিছু সুবিধা-অসুবিধা আছে। ফ্রিল্যান্সিংকে ক্যারিয়ার হিসাবে নিতে চাইলে বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে কাজ করে অভিজ্ঞতা নিয়ে ফেলুন। এতে আপনি সহজেই নিজের জন্য যথাযথ প্ল্যাটফর্ম খুঁজে বের করতে পারেন। তবে শুধু একটি প্ল্যাটফর্মের উপর পুরোপুরি নির্ভর না করে একাধিক প্ল্যাটফর্মে পোর্টফোলিও গড়ে তোলা বুদ্ধিমানের কাজ হবে।

  1. ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে কেমন রোজগার করা যায়?

এ প্রশ্নের ধরাবাঁঁধা উত্তর দেয়া কঠিন। চাকরির ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের ধরন, আপনার দক্ষতা, অভিজ্ঞতা, শিক্ষাগত যোগ্যতাসহ অনেক কিছুর উপর বেতন নির্ভর করে। সাধারণত জুনিয়ার পজিশনে ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে মাসিক ৳১৮,০০০ – ২৫,০০০ উপার্জন করা সম্ভব। স্পেশালাইজড আর সিনিয়র পজিশনের বেলায় তা কয়েক লক্ষ টাকা পর্যন্ত যেতে পারে। তবে এ ক্ষেত্রে সাধারণত ৫ – ৬ বছরের অভিজ্ঞতা ও ভালো পারফরম্যান্স রেকর্ড থাকা দরকার।

ফ্রিল্যান্সিয়ের বেলায় আপনার উপার্জন ক্লায়েন্টের সংখ্যা, তাদের বাজেট ও প্রজেক্টভেদে নির্ধারিত হবে। অর্থাৎ, যত বেশি ক্লায়েন্টের কাজ পাবেন, উপার্জন তত বাড়বে। আবার ভালো রিভিউ পেলে রেটের পরিমাণ বড় করতে পারবেন, যা আপনার আয় বাড়িয়ে দেবে।

  1. ডিজিটাল মার্কেটার হিসাবে আপনার কাজ কী হবে?

কোনো প্রতিষ্ঠানে ডিজিটাল মার্কেটার হিসেবে থাকলে দৈনন্দিন আপনাকে যে কাজগুলো করতে হতে পারে, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে:

  • ডিজিটাল মাধ্যমগুলোর জন্য মার্কেটিং পরিকল্পনা বানানো,
  • প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে কন্টেন্ট আপলোড ও আপডেট করা,
  • সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইলে পোস্ট করা ও ইউজারদের সাথে যোগাযোগ রাখা,
  • মার্কেটিং কন্টেন্ট – যেমন, ব্লগ পোস্ট ও গ্রাফিকস – তৈরিতে সাহায্য করা,
  • ইমেইল মার্কেটিং ক্যাম্পেইন চালানো,
  • ক্লায়েন্ট, অ্যাফিলিয়েট নেটওয়ার্ক ও পার্টনারদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করা,
  • পেইড মিডিয়া (Paid Media) বা বিজ্ঞাপনের দায়িত্ব নেয়া ও প্রয়োজনে বিজ্ঞাপন এজেন্সির সাথে কাজের সমন্বয় রাখা,
  • মার্কেটিং অ্যানালিটিক্স – যেমন, সোশ্যাল মিডিয়া পারফরম্যান্স – নিয়ে কাজ করা,
  • সেলস ও মার্কেটিং রিপোর্ট তৈরি করা,
  • ডিজিটাল ট্রেন্ড সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকা।

বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যাবে, আপনাকে হয়তো ফোন, ইমেইল বা কনফারেন্স কলের সাহায্যে কাজগুলো করতে হচ্ছে।

এজেন্সিতে চাকরির ক্ষেত্রে আপনাকে হয়তো ক্লায়েন্টদের সাথে সরাসরি দেখা করতে হবে।

ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলি। দৈনন্দিন এত কাজের মধ্যে লক্ষ্য হারিয়ে ফেলা অনেকটাই সহজ। তবে কাজগুলোকে আগ্রাধিকারের ভিত্তিতে সাজিয়ে নিলে তা লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে আপনাকে সাহায্য করবে।

  1. ডিজিটাল মার্কেটার হবার উপায় কী?

চাকরি বা ফ্রিল্যান্সিং – আপনি যেভাবেই ডিজিটাল মার্কেটিং করতে চান না কেন, আপনাকে নিয়মিত শেখা চালিয়ে যেতে হবে। দক্ষতা অর্জনে সক্রিয় আর কৌতূহলী হবার পাশাপাশি ব্যবসার নানা দিক সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে।

ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে আসতে হলে প্রাতিষ্ঠানিক ডিগ্রি থাকা সবসময় আবশ্যক নয়। তবে বাংলাদেশের কিছু বিষয়ের স্নাতক বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রিকে প্রাধান্য দেয়া হয় বা চাকরির বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা থাকে। বিষয়গুলো হলো:

  • মার্কেটিং
  • মিডিয়া, কমিউনিকেশন ও জার্নালিজম
  • ক্রিয়েটিভ ডিজাইন

তবে ডিগ্রি অর্জনের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হলো ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের প্রয়োজনীয় দক্ষতা থাকা।

একদম শূন্য অভিজ্ঞতা থেকে শুরু করার জন্য নিচের দক্ষতাগুলোতে মনোযোগ দিতে পারেন:

  • স্ট্রাটেজিক প্ল্যানিং
  • মার্কেটিং অ্যানালিটিক্স ও অডিয়েন্স রিসার্চ
  • কন্টেন্ট মার্কেটিং
  • সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং (যেমন, ফেসবুক মার্কেটিং ও ইন্সটাগ্রাম মার্কেটিং)

পরবর্তীতে শিখুন:

  • সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বা এসইও (SEO) 
  • কনভার্শন অপটিমাইজেশন
  • ইমেইল মার্কেটিং
  • ওয়ার্ডপ্রেস ম্যানেজমেন্ট
  • ইউএক্স ডিজাইন

মার্কেটিং বা কমিউনিকেশন সম্পর্কিত কোনো বিষয়ে আপনার যদি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি না থাকে, তাহলে কোর্স আর ট্রেনিং নিতে পারেন। বর্তমানে অনলাইনেও শেখার ব্যবস্থা রয়েছে।

কোর্স বা ট্রেনিং করার সুবিধা হলো, সব রিসোর্স এক জায়গায় গোছানো অবস্থায় পাবেন। এছাড়া, কোনো সমস্যায় পড়লে ইন্সট্রাক্টরের কাছ থেকে সাহায্য পাওয়া সম্ভব। সাথে থাকে প্রফেশনাল নেটওয়ার্কিংয়ের সুযোগ। আবার অনলাইন কোর্সের বেলায় নিজের মতো শেখা যায়। যেমন, বহুব্রীহির ৬ মাসের বিশেষ ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স করার মাধ্যমে আপনি যাবতীয় কাজ প্র্যাকটিক্যাল প্রজেক্টের মাধ্যমে শিখতে পারবেন। একেবারে কারোর সাহায্য নিয়ে ইন্টারনেট ঘাঁটাঘাঁটি করেও দক্ষতা অর্জন করা সম্ভব। কিন্তু সাধারণত এতে প্রচুর সময় লাগে। এছাড়া, প্র্যাকটিক্যাল কাজের সুযোগ সীমিত হয়ে পড়ে। যেমন, ওয়েবসাইটের কন্টেন্ট নিয়ে কাজ করতে হলে ওয়েবসাইট থাকার দরকার হয়।

  1. ডিজিটাল মার্কেটিং ক্যারিয়ার নিয়ে আপনার ভাবনা কী?

কঠিন মনে হচ্ছে? এটা স্বাভাবিক। কাজের ক্ষেত্র বিশাল হবার কারণে ডিজিটাল মার্কেটিং ক্যারিয়ার হিসাবে চ্যালেঞ্জিং। মার্কেটিংয়ে প্রাতিষ্ঠানিক ডিগ্রি না থাকলে শুরুতে হয়তো আপনার আত্মবিশ্বাসেও ঘাটতি থাকতে পারে। কিন্তু দক্ষতা অর্জন করে আপনি ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে চাকরি বা ফ্রিল্যান্সিং করে ঠিকই ক্যারিয়ার গড়তে পারবেন। ব্যক্তিগত আগ্রহ, অভিনব চিন্তা করার ক্ষমতা আর মার্কেটিং টুলগুলোর দক্ষ ব্যবহার  এ তিনটি বিষয় আপনাকে অন্যদের চেয়ে এগিয়ে নিয়ে যাবে এ ক্যারিয়ারে।

কিভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং করবেন?

পন্য বা সেবা সমূহকে বিজ্ঞাপনসহ বাজার গবেষনার মাধ্যমে বিক্রয় করার পক্রিয়াকেই মার্কেটিং বলে। আর ডিজিটাল মার্কেটিং হচ্ছে ডিজিটাল মিডিয়া ও ডিজিটাল প্রযুক্তি কে ব্যবহার করে অনলাইন/ইন্টারনেট এর মাধ্যমে পণ্য বা সেবার বিক্রয় কাজ পরিচালনা করা। আর আমরা মার্কেটিং করার জন্য যতো ধরনের বা পদ্ধতি ব্যবহার করি এগুলোই হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং। 

বর্তমান যুগ তথ্য প্রযুক্তির যুগ। তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে আমারা সবাই এগিয়ে যাচ্ছি প্রযুক্তির সাথে। সময়ের পরিবর্তনে সবকিছুই প্রযুক্তি নির্ভর হয়ে উঠছে। আর এই তথ্য প্রযুক্তির উন্নয়নের ফলে আমরা যে কোন কাজ খুব সহজেই করতে পারছি। আর সেই সাথে আমরা ও সময়ের সাথে নিজেদের মিলিয়ে নিতে পারছি।

যেমন আগে আমরা কোন পণ্য ক্রয় করতে হলে বাজারে/মার্কেট এ যেতে হতো। এখন আমরা ঘরে বসেই নিজের ইচ্ছে অনুযায়ী পণ্য ক্রয় বিক্রয় করতে পারি খুব সহজেই। আর এই পদ্ধতি ব্যবহার করে মার্কেটিং করাই হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং।

ডিজিটাল মার্কেটিং করার জন্য অনেকগুলো পদ্ধতি রয়েছে। কিন্তু এমন কিছু পদ্ধতি রয়েছে যেগুলো আমাদের ডিজিটাল মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে লাগবেই। তো আমরা আজকে জানবো ডিজিটাল মার্কেটিং এ যে বিষয় গুলো সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় সেগুলো সম্পর্কে।

  • SEO (Search Engine Optimization)
  • Online Advertising
  • SMM (Social Media Marketing)
  • Email Marketing
  • Affiliate Marketing
  • Content Marketing
  1. SEO

Search Engine Optimization এর সংক্ষিপ্ত রূপ হচ্ছে SEO. বাংলায় সংজ্ঞা দিলে বলা যায়, SEO হল এমন কিছু নিয়মনীতি/টেকনিক যার মাধ্যমে কোন একটা ওয়েবসাইট বিভিন্ন ধরনের সার্চ ইঞ্জিন (Google, Yahoo, Bing etc.) থেকে বেশি পরিমাণে ভিজিটর/ট্র্যাফিক পেতে পারে। আর এই বেশি পরিমান ট্র্যাফিক বা ভিজিটর আনার একমাত্র কারন হচ্ছে সার্চ ইঞ্জিন গুলোর প্রথম পেজ এ আমাদের ওয়েব সাইট কে আনা। আর যখন আমাদের ওয়েব সাইট সার্চ ইঞ্জিন গুলোর প্রথম পেজ এ চলে আসে তখন স্বয়ংক্রিয় ভাবেই আমাদের ওয়েবসাইট এর ভিজিটর বাড়তে থাকে।

SEO কে সাধারণত ২ ভাগে ভাগ করা যায়।

  • On Page SEO
  • Off Page SEO

আপনি আপনার ওয়েবসাইট সম্পর্কে যা বলেছেন তা হচ্ছে On Page SEO , এটিকে Technical SEO ও বলে। আর অন্যরা আপনার ওয়েবসাইট সম্পর্কে যা বলছে তা হলো Off Page SEO ,এটিকে Link Building ও বলে।

ধরুন আপনি একটা প্রোডাক্ট সম্পর্কে অথবা প্রোডাক্ট এর নাম লিখে যে কোন সার্চ ইঞ্জিন এ সার্চ করলেন। তখন প্রথম পেজ এ যে ওয়েবসাইট গুলো আসবে বুজতে হবে সেগুলোতেই আপনার সার্চ করা প্রোডাক্ট টি রয়েছে। এবং আমরা নিজেদের কথাই চিন্তা করতে পারি ধরুন আমরা কোন একটা নির্দিষ্ট বিষয় নিয়ে একটা ওয়েবসাইট তৈরি করলাম। এখন আমাদের ওয়েবসাইট এ আছে, এমন কোন প্রোডাক্ট বা ইনফর্মেশন লিখে কেউ সার্চ করলে আমাদের ওয়েবসাইট টি সার্চ ইঞ্জিন এর ১০ নং পেজ আসে, তখন কেউ তো আর ধরেই প্রোডাক্ট টি খোঁজার জন্য ১০ নং পেজ যাবে না। অবশ্যই ১ নং পেজটিই আগে দেখবে। আর এজন্য আমাদের ওয়েবসাইট এর ট্র্যাফিক/ভিজিটর বাড়াতে হবে আর Search Engine Optimization এর সঠিক পদ্ধতি গুলো অনুসরন করতে হবে।

  1. Online Advertising

আমরা অনলাইন এর মাধ্যমে যে বিজ্ঞাপন প্রচারনা করি তাই হচ্ছে মূলত Online Advertising. Online Advertising আবার Traditional Advertising এর মতো নয়।

Online advertising কয়েক ধরনের হয়ে থাকে, যেমনঃ

  • CPC (Cost Per Click)
  • CPA (Cost Per Action)
  • CPV (Cost Per View)
  • Display Advertising etc.

CPC হচ্ছে বিজ্ঞাপনের একটি ফর্ম যা ভোক্তাদের কাছে প্রচারমূলক বিপণনের বার্তা হিসেবে যাবে। আর একজন advertiser তার অ্যাড দেয়ার বিনিময়ে প্রতি ক্লিক এর জন্য কতো টাকা বা ডলার দিয়ে থাকেন।

CPA অর্থ হচ্ছে cost per action, অর্থাৎ আপনি যদি কোন একটি অ্যাকশান কমপ্লিট করতে পারেন তার বিনিময়ে অনলাইন মার্কেট আপনাকে একটা revenue দেবে। আর revenue টা হচ্ছে মূলত $, আর revenue এর বাংলা অর্থ হচ্ছে রাজস্ব বা আয়। এটি একটি নতুন Online Advertising প্রক্রিয়া।

CPV অর্থাৎ cost per view. CPC, CPA এগুলোর মতো এটি ও একটি Online Advertising সিস্টেম। একটি বিজ্ঞাপন প্রতিবার কি পরিমাণ বা কতো সময় পর্যন্ত ভিউ হয়েছে তার উপর ভিত্তি করেই revenue দেয়।

Display advertising টা হচ্ছে মুলত পথে ঘাটে আমরা যে প্রচারমূলুক বিলবোর্ড বা ব্যানার গুলো দেখতে তার ডিজিটাল রূপ। আর এইগুলো গুগল অ্যাডওয়ার্ডস এর মাধ্যমেই করা হয়।

  1. Social Media Marketing (SMM)

আমরা অনেক ধরনের সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করি , যেমনঃ Facebook, Twitter, Instagram, Google Plus আরো অনেক রয়েছে। এগুলোকে আমরা সোশ্যাল নেটওয়ার্ক বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বলে থাকি। আমরা একজন অন্যজনের সাথে বা একজন অনেকগুলো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ রক্ষার্থে এই মাধ্যম গুলো ব্যবহার করে থাকি। এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলোকে কাজে লাগিয়ে মার্কেটিং করা বা যে পদ্ধতি অনুসরন করে আমরা প্রচারনা করি তাকেই সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং বলে।

Social Media Marketing আবার ২ প্রকার।

যেমনঃ

  • Paid Marketing (টাকা দিয়ে পেজ অথবা গ্রুপ কে প্রমোট করে)।
  • Free Marketing (পাবলিক গ্রুপ ও পাবলিক পেজ এ পোস্ট অথবা কমেন্ট এর মাধ্যমে)।

আর এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলোর প্রত্যেক টি তেই আলাদা সিস্টেম বা পদ্ধতি রয়েছে কিভাবে মার্কেটিং করতে হবে। আর বর্তমানে কোন কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান তৈরি করা থেকে শুরু করে তার উন্নয়ন কার্জক্রম এ ও সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যাপক ভুমিকা লক্ষ্য করা যায়।

যেমনঃ

  • একে অপরের সাথে ভালো একটা সম্পর্কের সৃষ্টি হয়।
  • বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট বা সার্ভিস সম্পর্কে ফিডব্যাক পাওয়া যায়। এই তাৎক্ষনিক ফিডব্যাক পাওয়ার কারনে আমাদের প্রোডাক্ট বা সার্ভিস এর ভুল ত্রুটি নির্ধারণ করতে পারি খুব সহজেই।
  • পরস্পর যে কোন বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে পারি। এবং কারো কোন বিষয়ে কোন প্রশ্ন থাকলে আমরা সেই বিষয়ে সরাসরি উত্তর দিতে পারি।
  • কিভাবে একটা সার্ভিস বা প্রোডাক্ট কে ভালো ভাবে উন্নয়ন করা যায় এগুলো সম্পর্কে জানা যায়।
  • অনেক বিষয়ই রয়েছে যেগুলো সম্পর্কে আমাদের ধারনা নেই, কিন্তু ঐ বিষয় গুলো সম্পর্কে আমাদের জানতে হবে, ঐ সব বিষয় গুলো সম্পর্কে আমরা জানতে পারি।
  1. Email Marketing

ইমেইল মার্কেটিং হচ্ছে এমন একটি নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া বা পদ্ধতি যেখানে কোম্পানি তার নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌছানোর জন্য ঐ নির্দিষ্ট বিষয়ের সাথে জড়িত বা যারা এই বিষয় গুলো পছন্দ করেন তাদের ইমেইল কালেক্ট করেন, এবং তাদেরকে বিভিন্ন সময়ে ঐ বিষয় সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ধরনের প্রমোশনাল/প্রচারমূলক ইমেইল পাঠান।

আর ইমেইল মার্কেটিং করার জন্য যে ২ টি বিষয় খুব গুরত্বপুর্ন তা হচ্ছেঃ

  • Optin Form
  • Email Marketing Service

আর এই ২ টি পদ্ধতি লক্ষ্য না করলে ইমেইল মার্কেটিং করা সম্ভব না।

  1. Optin Form

Optin Form টা হচ্ছে যেখানে কোম্পানি নির্দিষ্ট কোন পন্যের উপর কমিশন থাকলে তা ইমেইলের মাধ্যমে জানিয়ে দেয় অথবা কোন পন্য বা সার্ভিস এর সাথে কোন কিছু ফ্রী থাকলে তা নেওয়ার জন্য অফার করে।

  1. Email Marketing Service

কোম্পানি যখন একাধিক ব্যক্তিকে ইমেইল পাঠায় তখন সে ইমেইল মার্কেটিং সার্ভিস বা এই রকম সফটওয়্যার এর মাধ্যমে ইমেইল পাঠায় । বিশেষ করে এই সব কাজে ইমেইল পাঠানোর ক্ষেত্রে ইমেইল মার্কেটিং সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

ইমেইল মার্কেটিং এর জন্য জনপ্রিয় সফটওয়্যার গুলো হচ্ছেঃ

  • Aweber
  • Mail Chimp
  • Get Response

আর কোম্পানি ইমেইল কালেক্ট করার জন্য কিছু বিষয় বেছে নেয়।

যেমনঃ

  • eBook
  • Cheat sheet of tips or resource
  • Free webinar
  • Coupon ইত্যাদি।

আর এই বিষয় গুলো বিশেষ করে E-Commerce Technology বা E-Commerce ওয়েবসাইট গুলোতে দেখা যায়।

  1. Affiliate Marketing

Affiliate Marketing টা হচ্ছে মার্কেটিং এর এমন একটি পদ্ধতি বা সিস্টেম যেখানে আমাদের নিজেদের কোন প্রোডাক্ট নেই, আপনি সেখানে অন্য কোন ব্যক্তি বা তাদের ওয়েবসাইট থেকে প্রোডাক্ট নিয়ে নিজের ওয়েবসাইট বা পেজ এনে প্রমোট করবেন, এবং কেউ যদি আপনার প্রমোট করা লিংক বা ব্যানার থেকে ক্লিক করে ঐ প্রোডাক্ট টি ক্রয় করে তাহলে আপনি সেখান থেকে কিছু টাকা কমিশন হিসেবে পাবেন।

Affiliate marketing এর সাথে মূলত ৩ টা জিনিস জড়িত। আর জিনিস গুলো হচ্ছেঃ

  • Merchants Or Advertiser
  • Networks (Click Bank, Commission Junction, Amazon Affiliate)
  • Publisher

Merchants or Advertiser

Merchant/বনিকদের কাজ হলো তাদের প্রোডাক্ট নির্ধারণ করা, এবং কখন মার্কেট এ কোন প্রোডাক্ট এর চাহিদা ভালো সে প্রোডাক্ট গুলো নির্বাচন করা।

  1. Networks

Merchant রাই সাধারণত এই নেটওয়ার্ক গুলোর সাথে সংযুক্ত থাকেন, তারা তাদের প্রোডাক্ট গুলো অনলাইন ভিত্তিক এই সব Affiliate Network সাইট এ শেয়ার করে। কয়েকটি জনপ্রিয় Affiliate Network সাইট।

যেমনঃ

  • Click Bank
  • Share A Sale
  • Amazon Affiliate
  • eBay
  • Market Health
  1. Publisher

যারা Affiliate Market থেকে এই প্রোডাক্ট গুলোর সন্ধান নেয়, তাদের নিজেদের ওয়েবসাইট বা পেজ এ এই প্রোডাক্ট গুলো কে প্রমোট করে বিক্রি করার জন্য তাদেরকেই Publisher /প্রকাশক বলে।

  1. Content Marketing

Content বলতে আমরা সাধারনত বিভিন্ন ধরনের ব্লগ পোস্ট, ভিডিও, ই-বুক ইত্যাদিকেই বুঝে থাকি । আমরা যখন অনলাইন এ কোন Content নিয়ে মার্কেটিং করি তখন তাকে Content মার্কেটিং বলে।

অনলাইন এ মার্কেটিং করা কতোগুলো Content:

  • Web Page
  • Blog Post
  • Podcast
  • Slide
  • PDF , E-Book , Book
  • Image
  • Video ইত্যাদি।

Content এর ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বিষয় টি হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং এর জন্য অবশ্যই Content তৈরি করতে হবে। এমনকি Search engine optimization, Social Media marketing সব জায়গাতেই Content প্রয়োজন। Content ছাড়া ডিজিটাল মার্কেটিং অসম্ভব।

মূল কথা হচ্ছে যদি আমরা Digital Marketing এর কথা চিন্তা করি তাহলে অবশ্যই আমাদের উপরের বিষয় গুলো মাথায় রাখতে হবে এবং সব গুলো ধাপ পার হওয়ার ক্ষেত্রে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেই পার হতে হবে।

Web Analysist 

Web Analysist এর মাধ্যমে ওয়েব ডাটা কালেক্ট করা, এনালাইসিস করা হয়ে থাকে যার ফলে কতটুকু বা কি  পরিমান ওয়েব সাইট ব্যবহার করা হয় তা জানা যায়। এছাড়াও এটি দিয়ে শুধু ওয়েব সাইট ট্রাফিক বা ভিজিটর পরিমাপ করা না এটি দিয়ে ব্যবসা বা মার্কেটও রির্সাচ করা যায়। ফলে একটা ওয়েব সাইটের কার্যকারিতাও বাড়ানো যায়।

Youtube Marketing 

Youtube Marketing হচ্ছে একটি প্রসেস যেটার মাধ্যমে একেক জন গ্রাহকদের কাছে বিভিন্ন সোশ্যাল চ্যানেলের ব্যপারে জানানো হয়ে থাকে। এছাড়াও এই মার্কেটিংয়ে আপনি বিভিন্ন ধরনের চ্যানেলের লিংকও যুক্ত করতে পারেন।

error: Content is protected !!

We love writing great content and sharing industry insights. To get a copy of our research on latest trends , subscribe to our newsletter